অতীতক নেযাবা পাহৰি

কবিঃ- যতীন্দ্ৰনাথ দুৱৰা

চেনেহৰ সখা মোৰ                         শেষ অনুৰোধ

অতীতক নেযাবা পাহৰি,

সমাপি জীৱন খেলা                            বসুধা বুকুত

যাম গই যিদিনা আঁতৰি,

অতীতক নেযাবা পাহৰি॥

সুখে দুখে জীৱনৰ                   ফুৰে পাছে পাছে

অতীতৰ মধুৰ সপোন,

নিমিষতে বিষাদত                    ধৰিছে আগত

এৰি অহা প্রেমৰ দাপোণ,

অতীতৰ মধুৰ সপোন॥

কঁপি থকা ওঁঠ দুটি                   নোৱাৰে ফুটাব

যাওঁ বোলা বিদায়ৰ বাণী :

দুগালে বাগৰি যায়                   চকুলো দুধাৰি

মাগে মাথো শেষৰ মেলানি,

যাওঁ বোলা বিদায়ৰ বাণী॥

বিষাদ-ডাৱৰে ঢাকে                জীৱন-আকাশ

পোহৰৰ লেশ মাথো নাই,

এখুজি দুখুজি কৰি                   ধীৰে ধীৰে দেহি

বাটৰুৱা যায় আগুৱাই,

পোহৰৰ লেশ মাথোঁ নাই॥

 আন্ধাৰ-মুধাৰ বাট                  নমনি একোকে

সমুখত স্মৃতিৰ শ্মশান।

কতনো প্ৰেমৰ ছবি                 লয় গই তাতে

তোলে এটি সকৰুণ তান,

সমুখত স্মৃতিৰ শ্মশান॥

তাৰ মাজেদিয়ে যায়                বাটৰুৱা মোৰ

সুখৰ দুখৰ গান শুনি,

আশা নিৰাশাৰ ৰেখ                 বুকুৰ মাজত

আঁকি লই অকলে আপুনি,

সুখৰ দুখৰ গান শুনি ॥

শুকুলা পাখিৰে সৌ                 নাওখনি বাই

নাৱৰীয়া আছে বাট চাই,

উঠিম যেতিয়া মই                   নাৱৰ বুকুত

নাও মেলি যাব ভটীয়াই

নাৱৰীয়া আছে বাট চাই ॥

দূৰত গৰজে শুনা                    অনন্ত সাগৰ

পর্বত সমান টো তুলি,

বাহু তোলা মৰণৰ                    শেষ আলিঙ্গনে

চিনচাব নেৰাখে সমূলি,

পর্বত সমান টো তুলি॥

অনাদৰ-অৱহেলা  যত জগতৰ

সুখ-দুখ সকলো পাহৰি,

সকলোকে অন্তৰৰ                 প্ৰণাম জনাই

নাও মেলি আহিলো আঁতৰি,

শুখ-দুখ সকলো পাহৰি।

সন্ধিয়াৰ আকাশৰ                   সৰু তৰাটিৰ

সাদৰৰ শেষ আৱাহন,

সেউজীয়া প্রকৃতিৰ                  কোমল কোলাত

খেলা মোৰ হ’ল সমাপন,

সাদৰৰ শেষ আৱাহন ॥

নাও মেলি আহিলো আঁতৰি,

অতীতক নেযাবা পাহৰি ॥