গড়গাঁও

কবিঃ- বিনন্দ চন্দ্ৰ বৰুৱা

গড়গাঁও গড়গাঁও কথা শুনি তল যাও, বাট দেখি পিছলে যে পাৱ ।

দিখৌৰ সোঁতত যোৱা, ভটীয়নী বল পোৱা, উভটিব খোজে মাৰ নাও ৷

                                                 -ওচৰতে দেখি গড়গাঁও ৷

ওলট্-পালট্ দেশ, কথাৰে নহয় শেষ, কটাৰীৰো ডাবে তাৰ কাটে ;

বাঘ-গৰু হালে হালে, একে ঘাটে পানী খালে ;নগৰৰ দেওলগা ঘাটে;

                                          - দেও তাত ফুৰে হাটে-বাটে।

বিদেশীৰ চকুথিৰ, স্বদেশীৰ ওখ শিৰ, দেওলগা মানুহৰ দেশ;

 উজুটিত ভাগে দাঁত, কোঢ়ালত হৰে মাত, অহা যোৱা নাই তাত শেষ ;

                                                -জনে জনে ভিন ভিন বেশ ।

সকলোৰে আছে কাম, নোহোৱাৰ নাই নাম, কাপুৰুষে সদা পায় লাজ

নাই দিন, নাই ৰাতি, নাই পানী, নাই মাটি, আদেশ মাথোন হয় 'সাজ'

                                                 -ইচ্ছা যেন স্বৰ্গ মহাৰাজ ।

বিলত নগৰ হয়, নগৰত নৈ বয়, ঢোদে তাৰ বান্ধে ৰাজআলি ;

কাৰেঙৰ দেও ইটা, শিল যেন চটা চটা, গাথে তাৰ হাঁহকণী ফালি ;

                                                –বনুৱাৰ নিছিগেই লালী ।

শাৰী শাৰী চোংঘৰ, দাঁতিত মাটিৰ গড়, আছে ভৰি সেনা জাক জাক;

একেৰাহে দিন-ৰাতি, চন্তৰি বাব খাট, নগৰত মাৰে ঘনে পাক ;

                                            —সৰু বৰ বুলিবানো কাক ?

পুৰঠ ভীমৰ কায়, ভ্ৰান্তি অকনো নাই, যুঁজৰ কুকুৰা যেন দেখি;

কুহুম-বুলীয়া পাগ, শিৰে সতে কৰে আগ, ৰজাক জীৱন দিলে লেখি;

                                            -- বৰ ভাল লাগে সাহ দেখি।

একে একে সকলোটি; বান্ধে গড়, খানে মাটি, জাঁত জাঁত মাৰে বৰ নাও;

ব'ঠা নাই আছে হাত, দা নাই আছে দাঁত, এনে সেনা ৰাখে গড়গাঁও

                                               -- সেই দেখি শুনি তল যাওঁ।

যুঁজৰ বাতৰি পালে, হেংদান তুলি ল'লে, জাকে জাকে বাঢ়ি গ'ল আগ;

ল'লে ঘোঁৰা, ল'লে হাতী, হিলৈ বৰ‍শা-যাঠী, যাৰ যৈনে আছে পতা ভাগ;

                                                --শাৰী শাৰী দেখি মাথোঁ পাগ।

                                                 

গিৰিপ্ গাৰাপ্ কৈ, গড়গাঁও পাৰ হৈ, যায় সেনা হৈ ধ্বনি কৰি;

ভৰিত শুকাই নৈ, শিল যায় ধূলি হৈ, বসুমতী যায় যেন ল'ৰি

                                      -ৰণছালি কোবে কোবে চৰি ।

ঢোলত চাপৰ মাৰ, ডবাত একোব পৰে, ভোৰ তালে খাঁও খাঁও কৰে;

মূৰত মথুৰা পাগ, বিষয়াটি বাঢ়ে আগ, ৰণুৱাই ৰণছালি ধৰে,

                                               ---গড়গাও টলমল কৰে।

বেৰে ছালে আছে কাণ, গড়গাঁও নোহে আন, দ্ৰোহীয়াৰ মূৰ কটা যায়;

 ৰজাৰ কুশল হকে, প্ৰজা আহি বলি যাচে, নিজ নিজ দেহাটি শোধাই

-                                            - এনে ৰজা পাবলৈকে নাই।

ৰাজ-সভা কিনো চাবা, স্বৰগ হাততে পাবা, চাই চকু জল্‌মল্‌ কৰে,

পিতলৰ দাপোণত এটি মাথো মানুহত, চাৰি পাঁচ গোট হৈ পৰে,

                                          —দেখি বুকু ঘনকৈ লৰে।

জালিকটা সুৰুঙাই, ভয়ে ভয়ে সুমুৱাই, বেলিয়েও পোহৰৰ ছাটি;

বাৰৰ ফুলত পৰি, বতাহত লৰি লৰি, ওৰে দিন দিয়ে ভাগ খাটি;

                                     -যাব পাৰে আহিলেহে ৰাতি।

শাৰী শাৰী থাকে পৰা, পাটী-খেৰ-থঙ্গা ধৰা, মানে মানে বহে মানখোৱা;

কটকী দুৱৰী থাকে, ডাং-ধৰা জাকে জাকে, ৰাজসভা চালে চকুৰোৱা,

                                         - আছে কত অহা আৰু যোৱা।

স্বৰ্গেদেৱ মহাৰাজ, পিন্ধিলে ৰজাৰ সাজ, সোণচৰা সিংখাপ চোলা,

হাতে তুলি হেংদান, দেশৰ ৰাখিব মান, জুৰি বহে আসনৰ কোলা

                                             -সুকোমল কপাহৰ জোলা।

দেশৰ বাতৰি লৈ, কটকী চোৱাৰী গৈ, আঠুকাঢ়ি সেৱাৰে জনালে;

মন্ত্ৰণা সভা কৰি, দণ্ড হাতত ধৰি, ৰাজ-কাজ সকলো কৰিলে,

                                      --ৰাজসভা জিলিকি উঠিলে।

সপোনৰ শেষ ৰাতি, গড়গাঁও গ'ল উটি, কাল সাগৰত ঢৌ খেলি,

কোনো জনে সাৰ পায়, কোনোৱে উভটি চায়, একে থৰে আছে চকু মেলি;

                                          -- ভাগে মোহ দিলে লোকে ঠেলি।

গড়গাঁও আজি তাত, শুনিবা জিলিৰ মাত, ভাবি চালে পিছলিব পাৱ।

নোলটেও ভয় খাই, দিখোয়েদি যোৱা নাই, ভটীয়নী সোঁতে মাৰ নাও,

                                             --ভাবি ভাবি বিচুৰ্তি যে খাওঁ।

নাই সেনা, নাই হাট, নাই পানী, নাই বাট, নাই ৰজা ৰাজসভা তাত;

কাৰেঙৰ চিন আচে, দেৱে তাত ৰাতি নাচে, মৰণৰ মেলা আছে হাত;

                                               --গড়গাঁও পৰি গ'ল শাঁত।

শ্মশান-বলিয়া কবি, শোকৰ বিচাৰি ছবি, আছে তাত বহি ৰাতি দিন;

হুমুনিয়া এটি পাই, বতাহেও লৈ যায়, আকে আনি দিয়ে মাথো চিন;

                                           —বাকী সকলোটি কালে লীন ।

পাগলা কবিৰ গাত, মাৰে যেন চাট্ চাট্, কাৰেঙৰ ইটা খহি আহি;

শ্মশান বিচাৰি-ফুৰা, লাগে মাথো জুইকুৰা, থাকিব যে নোৱাৰে সি নাহি,

                                           —শ্মশানতো ফুলে ফুল পাহি।